ঢাকাশুক্রবার , ৯ ডিসেম্বর ২০২২
  1. অপরাধ ও দুর্নীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আহত
  4. এওয়ার্ড
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. তথ্য প্রযুক্তি
  9. দিবস
  10. ধর্ম
  11. নির্বাচন
  12. বিনোদন
  13. মৃত্যু
  14. রাজনীতি
  15. শিক্ষা

গোদাগাড়ীতে ক্ষতির মুখে টমেটো চাষী ও ব্যবসায়ীরা

Ranisankailnews24
ডিসেম্বর ৯, ২০২২ ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

রবিউল ইসলাম মিনাল,স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রামনগর গ্রামের মাঝখানে হ্যালিপ্যাড মাঠ। মাঠের চারিদিকে খোলা আকাশের নিচে কয়েকটি জমিতে রোদে শুকানো হচ্ছে টমেটো। কোনোগুলো কাঁচা সবুজ রঙের। আবার কোনোগুলো হালকা হলুদ বা হালকা লাল রংয়ের। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চাষকৃত কাঁচা টমেটো কিনে এনে ব্যবসায়ীরা প্রক্রিয়াজাতকরণ করে পাকাচ্ছেন। সবুজ থেকে লাল রংয়ে পরিণত করতে টমেটো রোদে শুকানো হচ্ছে।

আবার কোনো কোনোগুলো স্তুপ করে রেখে খড় দিয়ে ঢেঁকে রাখা হয়েছে। যেগুলোতে প্রায় পুরোপুরি লাল রং ধারণ করবে, সেগুলো আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে বাজারজাত করণ হবে। এই টমেটোগুলোই চলে যাবে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এভাবে টমেটো পক্রিয়াজতের মাধ্যমে বাজারজাত করতে গোদাগাড়ীর এই হ্যালিপ্যাড এলাকার অন্তত ১০টি স্থানে ব্যবসায়ীরা আস্তানা গেঁড়েছেন। তারা অস্থায়ী বাড়ি করে বা বাড়ি ভাড়া নিয়ে ফাঁকা জমি বর্গা নিয়ে সেখানে কাঁচা টমেটো পাকিয়ে বাজারজাত করছেন।

এভাবে গোদাগাড়ীর অন্তত ৩০টি স্থানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে এই টমেটো ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। গত প্রায় ১৫ দিন ধরে এবারকার মৌসুমের টমেটো বেচাকেনা শুরু হয়েছে গোদাগাড়ীতে। চলবে আগামী আরও প্রায় দুই মাস। এই দুই মাস টমেটোর চরণভূমি বলে খ্যাত গোদাগাড়ীতে শুধুমাত্র টমেটো বেচা-কেনায় হবে প্রায় দেড়শ কোটি টাকার।

ব্যবসায়ীদের দাবি, এবারও বছরের শুরুতেই টমেটোর দাম অনেক বেশি। বেশি দাম দিয়ে কেনার পর সেগুলো বাজারজাত করতে অনেকটা ঝুঁকি নিতে হয় তাদের। এর মধ্যে রয়েছে ভারতীয় আমদানীকৃত টমেটোর প্রভাব। ফলে উচ্চ হারে দাম দিয়ে টমেটো কিনে সেটি বাজারে গিয়ে ভালো দাম না পাওয়া গেলে শুরুতেই ব্যবসায়ীরা ক্ষতিরমুখে পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে বলেও জানান তারা। গোদাগাড়ীতে মাঠ থেকে এখন কাঁচা টমেটো বেচা-কেনা হচ্ছে এক হাজার টাকা মণ (৪৫ কেজিতে এক মণ ধরা হয়) দরে। সেই টমেটোতে একবার ‘ইথিফন’ ও ‘ডায়াথিন এম’ জাতীয় ওষুধ স্প্রে করা হয়। এরপর তিনধাপে রোদে শুকিয়ে লাল রং ধারণ করতে সময় লাগে প্রায় ১০দিন। তারপর সেই টমেটো বাজারজাত করতে হয়। এবার এই প্রক্রিয়াটি এখন শুরু হয়েছে। তবে টমেটোর পুরো লাল রং গতকাল পর্যন্ত ধারণ না করায় সেটি বাজারজাত এখনো শুরু হয়নি। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই দেশের বাজারে নামতে শুরু করবে গোদাগাড়ীর এই টমেটো।

গোদাগাড়ীতে টমেটো কিনতে যাওয়া ঢাকার ব্যবসায়ী আজহার জানান, তারা ছয়জন মিলে এ বছর টমেটো ব্যবসা করতে গেছেন তাঁরা।
ও গোদাগাড়ী রামনগর লালবাগ এলাকার আব্দুল জাব্বার
যানান।
গত ১০- ১৫ দিন ধরে তাঁরা কাঁচা টমেটো কিনছেন। শুরুতেই তারা ১৩- ১৫ শ টাকা মণ ধরে টমেটো কিনেছেন।
গতকাল সেটি নেমে এসেছে ৫০০থেকে ৭০০ টাকা দরে নেমেছে।
বাজারদর নিয়ে বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা।

প্রথম দিকে কেনা টমেটোগুলো কৃষকদের কাছ থেকে কেনার সময়ের দাম ছিল ১৮০০ থেকে ২১০০ পর্যন্ত ।
এখন প্রতিদিন বাজার দর কমে যাচ্ছে।
এতে করে তারা মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের হাতে ন্যায্য মূল্য তুলে দিতে পারছেন না।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।