ঢাকাবুধবার , ২২ মে ২০২৪
  1. অপরাধ ও দুর্নীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আহত
  4. এওয়ার্ড
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. তথ্য প্রযুক্তি
  9. দিবস
  10. ধর্ম
  11. নির্বাচন
  12. বিনোদন
  13. মৃত্যু
  14. রাজনীতি
  15. শিক্ষা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

“নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীর কর্মীদের আতঙ্কে গ্রামবন্দি মানুষ”

Ranisankailnews24
মে ২২, ২০২৪ ৮:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জেলা প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও:

যদিও গ্রামে ভোট নেই তবুও ভোটের আমেজ উপভোগ করতে একই সাথে ঘর মেরামতের কাজ করাতে চট্টগ্রাম থেকে গ্রামের বাড়িতে এসেছে চাকুরজীবি মোহম্মদ আলম। গতকাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গ্রামের কেন্দ্রে তার সমর্থিত পরাজিত প্রার্থী ভোটের ফলাফলে এগিয়ে থাকায় উল্লাস করেছিলেন তিনি। অবশেষে তার প্রার্থী ভোটের সমষ্টিগতভাবে ফলাফলে হেরে যান। পরদিন সকালে বাড়ি থেকে নাস্তা করে স্থানীয় গঞ্জে যায় ঘর নির্মাণ শ্রমিকের খোঁজে। এসময় তাকে আটক করে বিজয়ী প্রার্থীর কয়েকজন কর্মী প্রশবন করে গতকাল এভাবে উল্লাস কেন করেছিলো সে এই বলে মারধর শুরু করে এবং সকালের ভরা বাজারে গায়ের জামা ছিড়ে নেয়।

বুধবার সকাল ১০ টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের বালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকার বালিয়া হাটে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার দিন দুপুরে ওই গ্রামে গেলে সাংবাদিকদের নির্যাতিত আলম এভাবেই ঘটনার বর্ননা করেন।

আলম আরও বলেন, সকাল থেকে বিজয়ীদের থেকে হুমকি দেয়া হচ্ছে বাজারে নাকি অন্য সমর্থকদের উপহাস করা হচ্ছে হুমকি দেয়া হচ্ছে৷ আমি কিছু মনে করিনি৷ কারন আমি গ্রামের ছেলে হলেও চাকরির সুবাদে বাইরে থাকায় এখানকার ভোটার নই। আমার ভোট বাইরে। কোন রাজনীতির সাথেও জড়িত নই। নির্বাচনের দিন আসার পছন্দের প্রার্থীর জন্য শুভকামনা থেকেই আনন্দ করা। এর জন্য আমাকে এভাবে লাঞ্চিত হতে হবে ভাবতেও পারিনি।

আলমের স্ত্রী বকুল আক্তার বলেন, আমি ঘটনাটা শোনার পরে স্থানীয়দের নিয়ে বাজারে যাই৷ হামলাকারি বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী মন্টুকে ভাই সম্বোধন করে জানতে চাই। তিনি আমাকে অশ্লীল ভাষায় কথা বলে। এতে করে আমার সঙ্গে থাকা অন্য নারীরা প্রতিবাদ করলে সে একটা ছুরি বের করে আমার সঙ্গে থাকা এক নারীর পেটে ঠেকিয়ে দেয়। এমন অস্থায় আমরা আতঙ্কিত হলে স্থানীয় বাজারের লোক তাকে আটকে রাখে পুলিশে খবর দেয়া হয়।

স্থানীয়রা এমন ঘটনাকে ন্যাক্কার জনক ঘটনা উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং সমাজের বিশৃঙ্খলা রোধে নতুন প্রজন্মের মানসিক চিন্তার উন্নয়নে সঠিক বিচারের দাবি করেন।

স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষক বলেন, ভোটে জয় পরাজয় থাকবে। ভোটের পরে এমন মারধরের ঘটনার দায় কে নিবে? তাই অতি উৎসাহী হয়ে নিজেদের গ্রামের শান্তি নষ্ট করার কোন মানেই হয়না। আমরা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। তিনি যেন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখেন। কারন ওই উশৃঙ্খল মানুষগুলো সার্বক্ষণিক চেয়ারম্যানের সাথে ঘুরেন এবঙ যেখানে সেখানে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতেও তার নাম ব্যবহার করে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন।

স্থানীয় কলেজ ছাত্র রাব্বি বলেন, নির্বাচনে আমার পছন্দের প্রার্থী থাকতে পারে। তিনি হেরে যেতেও পারে৷ তাই বলে নির্বাচন শেষেও এমন আচরণ অবশ্যয় কাম্য নয়। এমন চিত্র আতঙ্কের। দোষীকে আইনের আওতায় না আনা গেলে তারা আরোও বেপরোয়া হবে।

এক নারী বলেন, ঘটনার পর থেকে গ্রামে বন্দি হয়ে ছিলো মানুষ। কেউ বাজারে যাওয়ার সাহস করেনি। আমরা আতঙ্কিত ছিলাম। পরে পুলিশ এসে আমাদের কিছুটা ভয় কেটেছে। সমাজের এসব স্পর্ধা থামানো না গেলে অপরাধ বাড়বে। বড় অপরাধমূলক কর্মকান্ড হয়ে যেতে পারে।

খবর পেয়ে ঘটনা স্থানে যান ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক এস আই পিযুষ। তিনি বলেন, এ ঘটনায় তেমন কোন বিষয় হয়নি। থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর স্থানীয় চেয়ারম্যান ও তার অভিভাবকগণ থানায় এসে তাকে নিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে জানতে বেগুনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: বনী আমিন বলেন, ঘটনা ঘটার পর আমি ওখানে গিয়েছি। পরে থানা থেকে ছেলেটাকে নিয়ে এসেছি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।