সেলিম চৌধুরী নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়াঃচট্টগ্রামের
পটিয়ায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বই উৎসব। রোববার (১ জানুয়ারি) সকালেপটিয়ার কেলিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ডাক্তার তিমির বরণ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পটিয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন পটিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, প্রধান বক্তা ছিলেন প্রধান শিক্ষক শেখর দাশগুপ্ত। শিক্ষক প্রবোধ রায় চন্দনের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আনোয়ার নবী, শিবু প্রসাদ চক্রবর্তী, বরুন চক্রবর্তী, চম্পক দেব, নিভা চৌধুরীসহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও অভিভাববৃন্দ। সুএে জানা যায়,করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর বই উৎসব হয়নি। করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় রবিবার (১ জানুয়ারি) নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই তুলে দিচ্ছে। গতকাল
সকালে পটিয়ার কেলিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বই পাওয়ায় ভিষণ খুশি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, চট্টগ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮১ জন। এসব শিক্ষার্থীর বিপরীতে বইয়ের চাহিদা ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৩টি। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাধ্যমিকের প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ৫৮ লাখ ৫৪ হাজার ৪৬১টি। মাদ্রাসায় প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ২৯ লাখ ৮৭ হাজার ৪১টি। সর্বমোট প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ৮৮ লাখ ৪১ হাজার ৫০২টি। এ পর্যন্ত মোট প্রাপ্ত ৫৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ বই বিদ্যালয়ে পৌঁছেছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, চট্টগ্রামের ৪ হাজার ৩৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮২ হাজার। এসব শিক্ষার্থীর বিপরীতে বইয়ের চাহিদা হচ্ছে ৪৫ লাখ ২২ হাজার ১০৯টি। চাহিদার বিপরীতে গত শুক্রবার পর্যন্ত বই এসেছে মাত্র ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ১১টি। যা মোট চাহিদার ৩৩ শতাংশ |