ঢাকামঙ্গলবার , ২৫ অক্টোবর ২০২২
  1. অপরাধ ও দুর্নীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আহত
  4. এওয়ার্ড
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. তথ্য প্রযুক্তি
  9. দিবস
  10. ধর্ম
  11. নির্বাচন
  12. বিনোদন
  13. মৃত্যু
  14. রাজনীতি
  15. শিক্ষা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে ভারত-বাংলাদেশের মিলনমেলায় মানুষের ঢল

Ranisankailnews24
অক্টোবর ২৫, ২০২২ ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এস,আর শরিফুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাটে পাটগ্রাম উপজেলার নবীনগর-বাউরা ও জুম্মাপার সীমান্তে দুই বাংলার মিলন মেলা বসেছে। সনাতন ধর্মালম্বীদের কালীপূজা উপলক্ষে দুই বাংলার মানুষ তাদের স্বজনদের একটু দেখতে,কথা বলাতেই দুর দুরান্তে থেকে ছুটে এসে মিলিত হচ্ছেন কাঁটাতারের বেড়ার কাছে।

ভারত-বাংলাদেশের মিলনমেলায়

শেষবারের মতো লাঠি ভর করে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে মেয়েকে দেখা করতে এসেছেন বৃদ্ধ হরিমন (৭০) ও মা সুমতি রানী। মেয়ে ফুলমতি(৩৫) ভারতের জামালদহ রানী নগর এলাকায় থাকেন। গত বিশ বছর পুর্বে বিয়ে হয় ভারতের কুচবিহার জেলার জামালদা রানি নগর এলাকায় । পাঁচ বছর পর বাবা-মায়ের দেখা পেয়ে ফুলমতি আবেগ আপ্লুত হয়ে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে কাঁদতে থাকেন। বাবা মা মেয়ে দেখা হয়েছে কিন্তু মেয়েকে ছুঁইতে পারেননি বৃদ্ধ হরিমন।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর ) দুপুরে দেশের হিন্দু ধর্মালম্বী ছাড়াও মুসলমানসহ শত শত মানুষ দুই বাংলার আত্মীয়-স্বজন একে অপরকে একনজর দেখা ও কথা বলার জন্য ভারতীয় কাঁটা তারের বেড়ার দুই’পাশে হাজারও মানুষ ভীড় জমান।

সরেজমিদে দেখা গেছে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড বিজিবি শীতলতার কারণে সীমান্তের সানিয়াজান নদীর হাটু জল চা বাগান পেড়িয়ে ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়ার কাছে দুই বাংলার মিলনমেলা বসে। স্বজনদের দেখে কেউবা কুশল বিনিময়। কেউবা মেয়ে বাবাকে দেখে বাবা মেয়েকে দেখে কান্না করতে দেখা গেছে।

দুই বাংলার মানুষের মধ্যে বিনিময় হচ্ছে খাদ্যসামগ্রী। কেউ বা নিজের আত্মীয় স্বজনের জন্য খাবার তৈরি করে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে এনে খেতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, পাটগ্রাম উপজেলার জুম্মার পার নবীনগর-বাউরা সীমান্তের মেইন পিলার ৮৪০ এর সাব পিলার কাছে ভারতীয় কুচলিবাড়ী ৪০ বিএসএফ ক্যাম্পের নিকট সনাতন ধর্মালম্বীদের কালীপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের মানুষের মধ্যে মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ভারতীয় কুচলিবাড়ী ৪০ বিএসএফ ক্যাম্পের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে থেকে আসা শিশু কিশোরসহ অন্যনদের মধ্যে (প্রসাদ) খাবার পরিবেশন করা হয়। দুই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজন তাদের আপনজনদের দেখে আবেগ আপ্লত হন ও কুশল বিনিময় ও উভয়ে খাবার,ফল বিনিময় করেন।

হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বালিশের গ্রামের কল্পনা রানী বলেন, তিন বছর পর নিজের বোনের সাথে দেখা করলাম এই কাঁটাতারের বেড়ার কাছে।অনেক ভালো লাগছে প্রতিবছর যেন এভাবে সুযোগ করে দেয় আমাদের দেখা করার জন্য।

হাতীবান্ধার বড়খাতা ইউনিয়ন থেকে আসা শ্রী সুদর্শন বলেন, ভারতে আমার ভাগনী থাকেন তাদের সাথে দুই বছর পর দেখা হল। অনেক ভাললাগছে।

এ বিষয়ে বাউরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম মিলন জানান,প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কালীপূজায় সীমান্তে মিলন মেলা বসেছে। এতে দুই বাংলার মানুষের মাঝে পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় থাকবে। অনেকেই পাসপোর্ট ভিসা করতে না পেরে প্রতিবছর আশায় থাকে কালী পূজার মিলন মেলার জন্য।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।