মেহেরুল ইসলাম মোহন (লালপুর)নাটোরঃদলীয় কোন্দলের জেরে নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
রবিবার(১লা জানুয়ারি-২০২৩) বেলা ৩টার দিকে লালপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া চিলান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,
গ্রাম্য শালিস শেষে বাড়ি ফেরার সময় পথ রোধ করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি ও তার অনুসারীরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন।গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে
প্রথমে বনপাড়া আমেনা হাসাপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান আলী বলেন, আব্দুর রাজ্জাক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান।একজন বৃদ্ধ মানুষকে যারা এভাবে কুপিয়ে আহত করেছে তাদের এবং যারা এই কাজে ইন্ধন দিয়েছে তাদের সকলের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা মাষ্টার বলেন,ডাঙ্গাপাড়া চিলান গ্রামের ওসমান গনির সাথে মোজাম জোয়ার্দ্দারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো।সেই বিরোধ নিরসনের জন্য কদিমচিলান ইউনিয়ন পরিষদে শালিস হয়। ওই শালিসে প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। ওসমান গনির ধারনা আব্দুর রাজ্জাকের কারনেই তারা জমি পাচ্ছে না।
এরই জের ধরে রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
তিনি আরো বলেন,বর্তমান চেয়ারম্যান আনছারুল ইসলাম সন্ত্রাসী কায়দায় ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করছেন। নৌকার ভোট করায় আওয়ামীলীগ নেতাদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন করছেন।এর আগেও এই প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতাকে তার ইন্ধনে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে লাঞ্চিত করা হয়।আজকেও তার ইন্ধনে তার পালিত সন্ত্রাসী ওসমান গনি প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।আমি এই সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীদের কঠোর বিচার চাই।
এ বিষয়ে ১০ নং কদিমচিলান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছারুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
লালপুর থানার ওসি মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।