ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরের আমগাও ইউনিয়নের ঠাকিঠুকি চৌরাস্তা মৌড়ের দক্ষিণ পাশের গ্রামে পূর্বের শত্রুতা জেরে ঘরের পিছনে থাকা আমগাছে কীটনাশক বিষ ছিটানোকে কেন্দ্র করে গত ৩০/০৩/২০২৪ ইং রোজ শনিবার সন্ধ্যা অনুমান ৬.০০ ঘটিকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালীন বেশ কয়েক জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে, আহত ব্যক্তিরা হলেন, মোঃ নুর আলম ( ৪২) পিতা মৃত্যু হোসেন আলী ও মোছাঃ লাইলী বেগম ,(৩৬) স্বামী মোঃ নুর আমল। আরো কয়েক জন আহত হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য অটোরিকশা যোগে, হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
কিছু দিন চিকিৎসা চলাকালীন সুস্থ অনুভব মনে হলে, চিকিৎসা শেষে বেশ কয়েক জনের নামে হরিপুর থানায় গিয়ে বাদী মোঃ নুর আলম একটি লিখিত মামলা দায়ের করেন।
বিবাদীরা হলেন, মোঃ রবু ( ৪০) খায়রুল ইসলাম (৩৫) পিতা মোঃ সুকুদ্দী। আনারুল ইসলাম (৪০) পিতা মোঃ নাসিরউদ্দিন। সকলের বাসা আমগাও ঠাকিঠুকি চৌরাস্তা মৌড়ের পাশে গ্রাম। গং মোট ৫ জনকে বিবাদী করেন।
বাদী নুর আলম বলেন,আমি এবং আমার ভাইয়ের সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিবাদীগণ আমার ক্রয় কৃত বসত বাড়ির জমি জবরদখল করার চেষ্টা করে এবং
বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।
আমি এই জমি ক্রয় করেছি বিবাদীদের চাচার কাছ থেকে, প্রায় (১৫) বছর ধরে বসবাস করে আসছি,গত কয়েক বছর ধরে বিবাদীরা আমার এবং আমার ভাইদের সাথে,আমার বসতি জমি জবরদখল করার জন্য চেষ্টা করে আসছে, এর আগেও বেশ কয়েক বার আমাকে মারপিট করেছে, গ্রাম্য সালিশ দিয়ে বেশ কয়েক বার বিচার হয়েছে, কিন্তু তারা কোন বিচার মানতে চাই না, আসামি গণ উহাতে ক্ষ্যান্ত না হইয়া পুনরায় বর্ণিত জমাজমি জবর দখলের জন্য সর্বদা চেষ্টা করতে থাকে।
ঘটনার দিন, গত ৩০/০৩/২০২৪ ইং শনিবার অনুমান সন্ধ্যা ৬.০০ ঘটিকায়। আমার বাসার পিছনে থাকা আমগাছে রবু গং নামে কিট নাশক বিষ স্প্রো করতে থাকে তখন আমার স্ত্রী আমগাছে বিষ ছিটানো বন্ধ করতে বলেন
যেন ঘরের ভিতরে বিষের গন্ধ না আসে এবং ঘরের ভিতরে বিষ না প্রবেশ করে।
এই কথা বলার সাথে সাথেই রবু গং নামে কয়েক জন ব্যক্তি
নুর আলম এবং তার স্ত্রী লাইলী বেগম এর উপর এবং তার পরিবারের লোকজনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে কিল ঘুষি, বাঁশের লাঠি, দাও হাসুয়া দিয়ে এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে বেধর মারপিট করে বলেন বাদী নুর আলম সহ এলাকার লোকজন।
বাদী আরো বলেন,আমার স্ত্রীকে এবং আমার ছোট বাচ্চাদের কোদাল দিয়ে হাতে পায়ে এবং আমার স্ত্রীর মাথায় আঘাত করলে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পরে জায়।
আমি বাধা দিতে গেলেও আমাকেই বিবাদী রবু গং আমার মাথায় হাতে পায়ে বেধর মারপিট করেছে এবং পকেটে থাকা (১৫,০০০) পনেরো হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।
পরে আমাকে এবং আমার স্ত্রী সন্তানদেরকে আমার ছোট ভাই অটো চার্জার ভ্যান যোগে হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান । আমি কিছুটা সুস্থ হলে থানায় গিয়ে একটি মামলা দায়ের করি।
আমি যেন সঠিক বিচার পাই।
হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল লতিফ শেখ বলেন থানায় অভিযোগ হয়েছে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।