ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  1. অপরাধ ও দুর্নীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আহত
  4. এওয়ার্ড
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. তথ্য প্রযুক্তি
  9. দিবস
  10. ধর্ম
  11. নির্বাচন
  12. বিনোদন
  13. মৃত্যু
  14. রাজনীতি
  15. শিক্ষা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ক্ষমতার দাপটে বালু তোলার হিড়িক কুলিক নদীতে

Ranisankailnews24
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪ ১০:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে দীর্ঘদিন ধরে কুলিক নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের হিড়িক চলছে। কয়েকবার জরিমানা করা হলেও বালু ব্যবসায়ী বলছেন প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করছি আমরা । রানীশংকৈলের বিভিন্ন ইউনিয়নের কুলিক নদীর প্রায় ৮ টি ঘাট থেকে দিনে ও রাতের আঁধারে প্রকাশ্যে বালু তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী।

দেখা গেছে– হোসেনগাঁও ইউনিয়নের রাউতনগর মধ্যপাড়া গ্রামের নদীর ঘাট থেকে উসমান আলী, রাউতনগর গোরস্থান সংলগ্ন নদীর ঘাটে থেকে সইদুল ইসলাম, লেহেম্বা ইউনিয়নের রসুনপুর কুলিক নদী থেকে সুবহান আলী,উমরাডাঙ্গী নদীর ব্রিজ থেকে তরিকুল, মানিক, আবুল, মুরসালিন, নাঈম, সাইদসহ অনেকে ৩ থেকে ৫ টি মহেন্দ্র ট্রাকটর দিয়ে নির্ভয়ে এবং প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করে চলছেন।

গত বুধবার সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওইসব এলাকার কিছু মানুষ বলেন তাঁরা গত ৭ থেকে ৮ বছর ধরে এ বালু ব্যবসা করে আজ সম্পদশালী ও প্রভাবশালী।

অপরদিকে বাচোর ইউনিয়নে মহেশপুর ফোর স্টার ইট ভাটার পূর্ব পাশে কুলিক নদী থেকে, আপেল এবং রুবেল নামে দুই ব্যাক্তি একইভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। সেইসাথে বন্দর পাইলট কুলিক নদীর ব্রিজের নিচ থেকে কাউন্সিলর নূর আলম নামে এক ব্যাক্তি ক্ষমতার দাপটে রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন করছেন।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন– নিজ বালুর চাহিদা মিটিয়ে এটিকে বানিজ্যিক ভাবে প্রতিগাড়ি বালু ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

দেখা গেছে বালু তোলার কারণে মহলবাড়ি,এবং সুন্দরপুর এলাকায় নদীর পাশে থাকা হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশান ঘাটগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অভিযোগ করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। গবেষকরা বলেছেন বালু উত্তোলনে পানিদূষণসহ নদীগর্ভের গঠনপ্রক্রিয়া বদলে যাচ্ছে এবং নদী ভাঙছে।

বালু উত্তোলনে সৃষ্ট বায়ুদূষণে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের মধ্যে পরিবর্তন ঘটার ফলে তাদের আবাসস্থল যেমন ধ্বংস হচ্ছে, তেমনি তাদের খাদ্যের উৎসও ধ্বংস হচ্ছে। ফলে মৎস্য প্রজনন-প্রক্রিয়া পাল্টে যাওয়ার পাশাপাশি চাষাবাদের জমিও নষ্ট হচ্ছে।

এসব বালু ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে বালু তোলার বিষয়ে কথা বললে,তাঁরা বলেন প্রশাসনকে মেনেজ করেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এবং গোটা উপজেলা জুড়ে নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে আমরা তুললে দোষের কি?

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান– নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে আমরা জরিমানা করেছি। তাঁর পরেও কেউ বালু উত্তোলন করে থাকলে সরকারি বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।