নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আষাঢ়ের বৃষ্টির পানিতে কৃষকের মনে স্বস্তি ফিরে রানীশংকৈলের চাষীদের । মাঠজুড়ে আমনের ক্ষেতে রাসয়নিক সার, কীটনাশক ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন, কৃষক-কৃষানীরা। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠতে শুরু করেছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল আমন ধান। অন্যবছরের তুলনায় এ বছর আমন রোপণের শুরু থেকে কৃষককে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আষাঢ়ের ভরা মৌসুমে ও আকাশে বৃষ্টির দেখা মিলছিল না। ফলে সঠিক সময়ে আমন ধান রোপণ করতে পারেনি অনেক কৃষক। আমনের শুরুতে পাম্প ও শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি কিনে আমন ধান রোপণ করছেন, চাষীরা।
রানীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন আমনের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কম-বেশি সব কৃষকের কষ্টে অর্জিত আমন ধানের সবুজ পাতার রঙে ছেয়ে গেছে মাঠ। কেউ ধান গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। ভাল ফলনের সম্ভাবনা করছি |
কৃষক শাহেরুল ইসলাম(৩৩) বলেন, আমি ৭ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপন করেছি | কৃষিনির্ভর রানীশংকৈল উপজেলায় প্রায় মানুষের ফসল উৎপাদন ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটছে। এবার বড় ধরনের দুর্যোগ না হলে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে |
আমন চাষী রুবেল বলেন--যদি কোন দূর্যোগ বালাই না হয় তাহলে আমনের ফলনও খুব ভালো হয়। আর কৃষকের আমন ধান চাষে কোন রোগ বালাই না হয় সেজন্য প্রতিনিয়ত কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে থেকে তদারকি করা হচ্ছে।
রানীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ বছর রানীশংকৈল উপজেলায় ২১ হাজার ৬শত ৩০’ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । তবে এবার অনেক আমন চাষী সেচনির্ভর হয়ে পড়েছে। গত বছরের চেয়ে ভাল ফলন আশা করছি |
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: পেয়ার আলী
বার্তা সম্পাদক : রশিদুল ইসলাম রিপন
আমজুয়ান মার্কেট, রানীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও, বাংলাদেশ। মোবাইলঃ 01750876384 সম্পাদকঃ ; Gmail: alipeyar699@gmail.com
২০২৩© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত