দিনাজপুর প্রতিনিধি \ অসুস্থ রোগী হাসাপাতালে রোগী ভর্তি আছে, চিকিৎসক দেখছেনা, কিনিকে ভর্তি রোগীর ফি কমাতে হবে, ওষুধ কিনতে হবে, ছেলে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে হবে, বই কিনেতে হবে, সুপারিশ লাগবে ,যাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য কোন মাধ্যমের দরকার নেই। যিনি সবার দুঃখ-কষ্টের কথা শুননেন, পাশে দাঁড়ান হাসি মুখে। যিনি সবার মোবাইল ফোন রিসিভ করেন, প্রতিদিন হাসপাতাল গুলোতে গিয়ে নির্বাচনী এলাকার রোগীদের খোঁজ খবর নেন, ধনি, গরীব, দিনমজুর সবাই যাঁর কাছে মন খুলে কথা বলতে পারেন, এমন একজন মানুষ,যেটা শুধু জেলায় নয়, বোধকরি সারা বাংলাদেশের জন প্রতিনিধিদের উদাহরণ হতে পারেন। এমন একজন জনপ্রতিনিধিকে হচ্ছেন দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল।
গোপাল ২০০৫ সালের ৫ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত দিনাজপুর-১আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীকে পরাজিত করে প্রথমবারের মত অষ্টম জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামীলীগের দুর্দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে যোগদান করে সে সময় আসনটি আওয়ামীলীগকে উপহার দেন। হয়ে ওঠেন শেখ হাসিনার আস্থা ভাজন সৈনিক। এরপর শেখ হাসিনার ¯েœহাধন্য হয়ে একে একে তিন বার নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এলাকার রাস্তাঘাট,ব্রীজ, কালভার্ট, বিদ্যুৎ, স্কুল কলেজ,মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্ধাশ্রম, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসহ এমন কোন প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে তার হাত দিয়ে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি।বীরগঞ্জ-কাহারোলে চলমান রয়েছে মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় একের পর এক উন্নয়নের কারণে ও এলাকার মানুষের কাছ থেকে নেয়া তথ্যের ভিওিতে সন্তোষ্ট হয়ে এবারও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন মনোরঞ্জন শীল গোপালের হাতে।
নির্বাচনী প্রচারনা চলছে। দুই উপজেলার মানুষের ভালবাসা ও সমর্থন নিয়ে নৌকার অবস্থান এখন তুঙ্গে। আর এই ভালবাসায় ইশ্বানিত হয়ে আওয়ামীলীগের পথভ্রষ্ট কতিপয় নেতারা বিএনপি জামায়াতের সাথে আতাঁত করে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের বৃথা চেষ্টা করছে। সেই সাথে কৌশলে মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় বাস্তবায়িত কর্মকান্ডে বাধা সৃষ্টি করতে চাইছে। নিজের অজান্তেই নিজ দলের বিরুদ্ধে এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মকান্ডকেও প্রশ্নবৃদ্ধ করছেন। যাতে আবার বিএনপি জামায়াত সুড়সুরি দিচ্ছেন। সেই সুড়সুরিতে পুলকিত হয়ে প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা বলছেন। ধর্মকে টেনে এনে বাঙ্গালীর সম্পৃতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। অবশ্য এতে কোন লাভ নেই, কারণ এই আসনের মানুষ সকল ষড়যন্ত্রকে পিছনে ফেলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন মনোরঞ্জ শীল গোপালের বাসায়,অফিসে,এলাকায়, সভা সমাবেশে ও ঢাকায় সংসদিয় বাসভবনে যেখানেই থাকেন সেখানেই প্রতিদিন হাজারো মানুষ নানা সমস্যা নিয়ে তার কাছে আসেন। তিনিও তাদের সমস্যার কথা শুনেন এবং সাধ্যমতো চেষ্টা করেন সেসব সমস্যার সমাধান করতে। সরকারের পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে অসহায় ও দরিদ্রদের আর্থিক সহায়তা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করার পাশাপাশি পথে-ঘাটেও বিভিন্ন সময় অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করে আসছেন। তার এসব কর্মকান্ড কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়, যাতে ব্যাপক প্রশংসা পেতে দেখা যায় এই সংসদ সদস্যকে।
সাধারণ মানুষের যেকোনো সমস্যার কথা শুনলে শুধু নির্বাচনী এলাকা নয়, যেখানে প্রয়োজন সেখানেই ছুটে যান তিনি। এমনকি নির্বাচনী এলাকায় না থাকলেও থেমে থাকে না তার জনসেবা। তার অনুপস্থিতিতে মোবাইলে অন্য যেকোনো উপায়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলেই মিলে যায় সমাধান।
মনোরঞ্জ শীল গোপালের পৈত্রিক বাড়ী দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার নয়াবাদ গ্রামে। সেখানে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার শিক্ষা জীবন শুরু হয় নয়াবাদ ঢেকিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এবং পূর্ব মল্লিকপুর হাই স্কুলে পড়া শোনা করেছেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো দিনাজপুর-১ থেকে উপ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে অষ্টম জাতীয় সংসদে প্রতিনিত্বি করেন। এরপর নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি নির্বাচনী এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, মসজিদ-মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, মন্দির ও ভাঙা রাস্তা সংস্কার, গ্রামের কাঁচা রাস্তা পাকাকরণসহ মানুষের ভোগান্তি কমাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার পর তা সমাধান করে দিয়ে থাকেন মনোরঞ্জন শীল গোপাল। তার কাছে এসে কেউ নিরাশ হয়ে ফেরেন না।
বীরগঞ্জের মানুষ বলেন, আমাদের এমপি সাহেব (মনোরঞ্জন শীল গোপাল) খুব ভালো মানুষ। এলাকার মানুষের চিকিৎসা, পড়ালেখা থেকে শুরু করে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। সুযোগ পেলেই এলাকার অনেক মানুষের উপকার করেন তিনি।
কাহারোল উপজেলার মামুন হোসেন বলেন, আমাদের এলাকার অনেক ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালান তিনি। সবার বিপদে সবার আগে হাত বাড়িয়ে দেন। আমাদের এমপি মানুষের সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করেন। বিশেষ করে গরিব মানুষের পাশে সব সময় থাকেন।
করোনাকালীন সময় যখন কাউকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিলোনা,মানুষ জীবনের ভয়ে বাড়ী থেকে বের হচ্ছিলনা,তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ী বাড়ী খাদ্য সহায়তা পৌছে দিয়েছেন। নিজের জীবনের মায়া করেননি। শীতের সময় ঘরে ঘরে শীত বস্ত্র উপহার দিয়েছেন। কেউ অসুস্থ হয়ে হাসাপাতালে ভর্তি হলে এখনো তিনি হাসাপাতালে দেখতে ছুটে যান। চিকিৎসার খোজ খবর নেন।
আরেক বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের এমপি এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছেন। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ সব জায়গায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। গরিবের সব সমস্যায় তিনি সহযোগিতা করেন। তিনি আমাদের গরিবের এমপি। তিনি বীরগঞ্জ ও কাহারোলে ডিগ্রী কলেজ কে সরকারি
