ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ সদর উপজেলার সালন্দর সিংপাড়ায় জমি জবর দখলের চেষ্টা ও ভূমিদস্যুদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব আনিসুল হক মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে গোলাম সারোয়ার সম্রাট লিখিত বক্তব্যে বলেন, সদর উপজেলার সালন্দর সিংপাড়ায় তাদের জমি জবর দখলের করে ঘর-বাড়ি নির্মাণের চেষ্টা করছে আরাজী সিংপাড়া গ্রামের সালন্দর ৯নম্বর ওয়ার্ড এর মফিজুল মেম্বার ও সরকারপাড়া মহল্লার পারভেজ খানের ছেলে মোর্শাহেদ পারভেজ রকির নেতৃত্বে একদল ভূমিদস্যু। এরা সারা বছর অন্যের জমি দখলসহ নানান অবৈধ অপকর্মের হোতা।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন,তার পিতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. জালাল উদ দীন ঠাকুরগাঁও থানার জে.এল নং-১০২, আরাজী সিংপাড়া মৌজায়, সি,এস খতিয়ান নম্বর-১৯, এস.এ খতিয়ান নম্বর-২৮, দাগ নম্বর -২শ এর ৬৩ শতক জমি ১৯৯৬ সালের ২৪ জুন, ৭ হাজার ৭৮৩ নম্বর দলিল মূলে কিনেন। পরে ৭২ নম্বর খারিজ, মাঠ পর্চা, ৭২ নম্বর আর.এস রেকর্ডমূলে নিজের নামে চুড়ান্তভাবে প্রস্তুত হওয়ার পর ওই জমিতে পুকুর খনন, ধান-গম-ভুট্টা শুকানোর চাতাল নির্মাণ এবং কিছু অংশে ১০টি দোকান ঘরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি একদল ভূমিদস্যু ওই জমি নিজেদের দাবি করে দখলের চেষ্টা করে। কাগজপত্র না দেখিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকী-ধমকী দিয়ে উল্লেখিত জমিতে ঘর তোলার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় আমার পিতা গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত, সদর, ঠাকুরগাঁওয়ে জিআর-৭৭/২৪ মামলা দায়ের করেন। মামলায় মৃত সহির উদ্দীনের ছেলে মোকলেসুর রহমান (৪৯), দক্ষিণ নিশ্চিন্তপুর বিডিআর ক্যাম্পের (হাজীর মোড়ের দক্ষিন)’র আব্দুল আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন (২৭) সহ ৪ জনকে আসামী করা হয়। বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারী পরোয়ারা জারি করেন। এ অবস্থায় ১৫ ফেব্রুয়ারি আসামীরা আদালতে হাজির হয়ে উল্লেখিত জমি জবর দখলের চেষ্টা করবে না মর্মে অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন।
আসামীরা নিজেরা ব্যার্থ হয়ে স্বার্থ হাসিলের জন্য কৌশলে উল্লেখিত জমি জবর দখলের উদ্দেশ্যে নতুন ফন্দি বের করে একটি ভুমিদস্যু চক্রকে ভাড়া করে। সালন্দর ৯নং ওয়ার্ড এর মফিজুল মেম্বার ও মোর্শাহেদ পারভেজ রকিসহ একদল সন্ত্রাসী চক্রটি ওই জমিতে ঘর-বাড়ি তোলার চেষ্টা করে এবং আমার বাবাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।
এ অবস্থায় আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থার প্রতি ভূমিদস্যুদের বিচারের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।